উইন্ডিজ সিরিজে কাটবে ব্যাটিং চিন্তা?

উইন্ডিজ সিরিজে কাটবে ব্যাটিং চিন্তা?

সিলেটে প্রথম টেস্ট হারের পরই ‘গেল গেল’ রব উঠেছিল। ঢাকা টেস্টে হারলে সিরিজটা অবশ্য যেতই। তবে শেষ পর্যন্ত মান বেঁচেছে। ২১৮ রানের জয়ে সমতায় সিরিজ শেষ করেছে বাংলাদেশ। কিন্তু এই সিরিজ সমতা খুব একটা স্বস্তি দিচ্ছে না বাংলাদেশ দলের। কারণ টেস্টে টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের রান না পাওয়া। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের পর কাকে রেখে কাকে খেলাবে অবস্থা ছিল। অথচ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের প্রথম টেস্টে তামিমের না ফেরাটা বড় দুশ্চিন্তা হয়ে রইলো।

সিলেটে মুশফিক-মাহমুদুল্লাহদের অনুশীলন।

চোটের কারণে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজে খেলা হয়নি তামিম ইকবালের। দেশসেরা ওপেনারের অনুপস্থিতি তাই দলের অন্যদের জন্য ছিল নিজেদের প্রমাণ করার বড় সুযোগ। কিন্তু সেটা কি কেউ পারলেন? উত্তর- না। দুই টেস্টের চার ইনিংসে বাংলাদেশের দুই ওপেনিং ব্যাটসম্যান লিটন দাস ও ইমরুল কায়েস দলকে পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের জুটি উপহার দিতে পেরেছেন মাত্র একবার, সিলেট টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ৫৬। সিরিজের বাকি তিন ইনিংস মিলিয়ে এই জুটির মোট রান ৩০। নিজের খেলা চার ইনিংসে লিটন দুই অঙ্ক ছুঁতে পেরেছেন একবার, ইমরুলও তাই।

টপ অর্ডারের অন্য ব্যাটসম্যানরাও দিতে পারেনি ভরসা। সিলেট টেস্টের প্রথম ইনিংসে দলের ১৯ রানে ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ঢাকা টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে চার উইকেট পড়ে ২৫ রানে। ঢাকা টেস্টের প্রথম ইনিংসের শুরুতে ৩ উইকেট হারানোর পর মুশফিক-মুমিনুল করেন দারুণ ব্যাটিং। পরের ইনিংসে বিপদ থেকে বাঁচান মাহমুদুল্লাহ-মিঠুন। মুমিনুল বড় একটা সেঞ্চুরি পেয়েছেন বটে। ডাবল সেঞ্চুরি হয়ে মুশফিকেরও। কিন্তু বাকি তিন ইনিংসে তারা পুরোপুরি ব্যর্থ।

ঢাকা টেস্টে ভালো খেলা দুই ব্যাটসম্যান মুশফিক ও মুমিনুল। 

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সাকিব-তামিম ফিরবেন এই আশায় ছিল দল। কিন্তু তামিমের প্রথম টেস্টে ফেরা হলো না। তবে দল থেকে বাদ পড়ে গেছেন লিটন দাস। তার জায়গায় সুযোগ দেওয়া হয়ে সৌম্য সরকারকে। তিনি আশা দিতে পারবেন কিনা। ইমরুল টেস্টে রান না পাবেন কিনা। মুমিনুল ভালো ইনিংসের দেখা পাবেন কিনা এগুলো বড় দুশ্চিন্তা হয়ে উঠেছে। সেই দুশ্চিন্তার সমাধান টপ অর্ডারের হাতে। তারা যদি ব্যাট হাতে জবাব দিতে ব্যর্থ হন তবে আরেকটি কঠিন সিরিজ পার করতে হবে বাংলাদেশ দলের।

কারণ ঢাকা টেস্টের মতো প্রতিদিন কেউ ত্রাতা হয়ে উঠবেন না। সিলেটে যেমন ওঠেননি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে যেমন কেউ ত্রাতা হননি। আর তাই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঘরের মাঠে টেস্টে টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ের কোন বিকল্প মেলে না। ওদিকে দলের ক্রিকেটারদের মাথায় নিশ্চয় আছে, জিম্বাবুয়ের বোলিং আক্রমণ আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের আক্রমণ এক হবে না।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment